ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের তান্ডব

Slider শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। বিশ^বিদ্যালয়ের ৫ নং গেট সংলগ্ন মাজেদুর রহমানের বাসায় ভাঙচুরসহ বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষককে বের করে দিয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় তালা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

রবিবার দুপুর ২ টায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাঠিয়ে মাজেদুরের বাসায় দুই ধাপে ভাঙচুর তান্ডব চালায় ও বাসার মেয়েদের সাথে অশালীন ব্যবহার করে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। মাজেদুর বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করতেন। এর রেস ধরে সোমবার সকাল ১০ টায় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ছাত্র-শিক্ষকদের বের করে দিয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় তালা মারে। এরপর বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মাজেদুরের বাসায় ভাঙচুর করতে পাঠায়।

মাজেদুরের জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা আছে বলে জানা যায়। মাজেদুরের পাশেই দুলালের ৫ তলা ভবন, ঈসমাইল ও সানোয়ার বাসা। দুলালের বাসায় বিশ^দ্যিালয়ের প্রায় ৫০-৬০ জন ছাত্রী বসবাস করে। মাজেদুরের যায়গার উপর দিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রীরাসহ ঈসমাইল ও সানোয়ার বাসার লোকজন যাতায়াত করত। দুলাল, ঈসমাইল ও সানোয়ার সাথে দ্বন্ধ হওয়ায় মাজেদুর রাস্তা বন্ধ করে দেয়। দুলাল বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ তান্ডব পরিচালনা করে।

তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব তালুকদার ও সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান দুলালের পক্ষ হয়ে কাজ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাজেদুরের বাসায় ভাঙচুর, ক্যাফেটেরিয়া তালাবদ্ধ ও টাকা লেনদেনের বিষয় অস্বীকার করে সভাপতি সজীব তালুকদার বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাজ করেছে।

জায়গার মালিক মাজেদুর রহমান বলেন, যায়গাটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। যায়গা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় আমি কোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা জারি করাই। বিশ^বিদ্যালয়ের কারো সাথে আমার কোন শত্রুতা নাই। দুলাল তার ৫ তলা বাড়ি নির্মাণের সময় রাস্তার জন্য যায়গা রাখে নাই। আমাদের যায়গাকে তারা রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সমস্যা হলে অন্য যায়গায় থাকবে। আমাদের বরাবরই তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক, এটা বিশ^দ্যিালয়ের বাইরের বিষয় কিন্তু কেন এমন করছে বুঝতে পারছি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি ভাঙচুরের খবর পেয়ে ছাত্রদের দুইবার সরিয়ে নিয়ে আসি এবং পুলিশ প্রসাশনকে অবহিত করি। ক্যাফেটেরিয়া তালা মারার ঘটনা শুনে আমি সেখানে যাই ও ছাত্র নেতাদের সাথে কথা বলে সাড়ে ১২ টায় ক্যাফেটেরিয়া খুলে দেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *