বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশের হঠাৎ অভিযান, ফাঁকা গুলি

Slider সিলেট


সিলেট:পুলিশের একটি দল সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরীর বাসার হঠাৎ অভিযান চালিয়ে পাঁচজন কর্মীকে আটক করেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আজ রোববার সন্ধ্যার পর নগরের সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ি পার্শ্ববর্তী যতরপুরে জেলা বিএনপির সভাপতির বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় অবশ্য বাসায় তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া আবুল কাহের চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্য কেউ বাসায় ছিলেন না।

ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গেলে আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে হঠাৎ গুলির শব্দে আশপাশ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শেষে বিএনপি নেতা আবুল কাহের চৌধুরীর বাসায় একদল পুলিশ ঢুকে পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যায়।

জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি নেতার বাসায় নাশকতার পরিকল্পনায় একটি বৈঠক হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ আগেই অবস্থান নেয়। এ সময় একদল যুবকের সঙ্গে পুলিশের বচসার জের ধরে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা হয়। পরে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। শেষে বিএনপি নেতার বাসায় ঢুকে পাঁচজন কর্মীকে আটক করা হয়। ওসি আটক পাঁচজনকে নাশকতার পরিকল্পনায় থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গী বলে দাবি করেন।

কী কারণে বচসা হয়েছে জানতে বিএনপি নেতা বাসার পাশের কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ এসআই কামাল বলেন, ২০ থেকে ২৫ জন যুবক বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে ফাঁড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। তাঁদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একজন ‘সরকার দলের গোলাম’ বলে পুলিশকে গালি দেন। গালি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে যুবকেরা উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে পুলিশের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা (নম্বর সিলেট থ ১২-৭১৬৬) ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন। আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে ফাঁড়ি ইনচার্জ জানান।

আবুল কাহের চৌধুরীর বাসার তত্ত্বাবধায়ক জানান, পুলিশের ওপর হামলা কারা করেছিল, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁর বাসার মালিক (বিএনপি নেতা আবুল কাহের চৌধুরী) পরিবারসহ এক মাস ধরে বাসায় থাকছেন না। এ জন্য বাসাটি খালি পড়ে আছে। তিনি দাবি করেন, মাগরিবের নামাজের জন্য বাসার বাইরে গিয়ে গুলির শব্দ শুনে ফিরে দেখেন ভেতরে পুলিশ।

রাত আটটার দিকে যোগাযোগ করা হলে আবুল কাহের চৌধুরী মোবাইল ধরেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির একজন নেতা জানান, তাঁরা ঘটনাটি শুনেছেন। পুলিশ কোনো অঘটন ঘটাতেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন। এ ঘটনায় জেলা বিএনপি জরুরি বৈঠকে বসে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দেবে বলে ওই নেতা প্রথম আলোকে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *