সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আসামপাড়া এলাকায় বিবু দাসের বাড়ীর সন্নিকটে একটি লাইন ছিড়ে পড়ে থাকে৷
বিবু দাস সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কার্যলয়ে একাধিক বার ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন এবং সরবরাহ বন্ধ করার অনুরোধ করেন৷ কিন্তু কর্তৃপক্ষ সংযোগ বন্ধ করেনি৷
এদিকে ১১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় বৃষ্টির রাতে বাজার হতে বাড়ী ফিরছিল জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আসামপড়া গ্রামের সুবির দাসের ছেলে ক্যাপ্টেন রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র সোহাগ দাস(১৪)৷
পথে পড়ে থাকা বিদ্যুৎ লাইন দেখতে না পাওয়ায় পা জড়ীয়ে যায় লাইনে৷ এসময় চিৎকার দিলে এলাকাবাসী সহ সোহাগের মা দৌড়ে এসে দেখতে পান পল্লী বিদ্যুতের লাইনে সোহাগ আটকা পড়েছে৷ সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতে ফোন করা হলে সরবরাহ বন্ধ করা হয়নি৷
এলাকাবাসীর অভিযোগ ঘটনার ২০ মিনিট পর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়৷ তখন মৃতদেহ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়৷ কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষনা করেন৷
এলাকাবাসী জানান, মায়ের সামনে ছেলের এমন মৃত্যুর কারনে এলাকায় হৃদয় বিধারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়৷ এমন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারেনি৷ ফলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে আসামপাড়া এলাকায় সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে৷
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ক্যাপ্টেন রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানোজিং কমিটির সভাপতি এখলাছুর রহমান সহ এলাকার গন্যমান্যরা উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরিন করিমের সাথে আলোচনা করে ঘটনার সুষ্ট তদন্তের আশ্বাস দিলে রাস্তার অবরোধ তুলে নেওয়া হয়৷
এবিষয়ে জানতে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন রিসিভ হয়নি৷
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান বলেন বিষটি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্বাহী অফিসার আশ্বাস দিয়েছেন৷ মৃত্যুর দায়ভার সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ না নিলে বড় ধরনের দূর্ঘটানা ঘটতে পারে৷
এবিষয় জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত বিদ্যুতের তার জড়ীয় এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন৷