ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের সংসদ সদস্যরা।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ সংক্রান্ত একটি নিঃশর্ত প্রস্তাব উত্থাপিত হলে কোনো বিরোধিতা ছাড়াই পাস হয়ে যায়।
গত অক্টোবরের পর থেকে চতুর্থ কোনো ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) রাষ্ট্র হিসেবে আয়ারল্যান্ডের সংসদে এ প্রস্তাব পাস হলো।
এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে বাধ্য না হলেও সুইডিশ সরকারের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী চার্লি ফ্ল্যানাগান বলেন, নীতিগতভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অতি দ্রুত দেওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন করে আয়ারল্যান্ড।
ফ্ল্যানাগান আর বেশি কিছু খোলাসা না করলেও প্রস্তাবটি পাস হয়ে যাওয়ায় আইরিশ সরকার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে আরও অনেক দূর এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে, একই দাবিতে প্রস্তাব পাস হয় ফ্রান্স, ব্রিটেন ও স্পেনের সংসদে। তবে, আয়ারল্যান্ডসহ এ চারটি দেশের কোনোটিই এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
আরবের ভূ-মধ্যসাগর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা ফিলিস্তিন ‘পশ্চিমা’ দেশগুলোর মধ্যে কেবল সুইডেনেরই স্বীকৃতি পেয়েছে, যেটা বিশ্বের ১৩৫তম রাষ্ট্রের স্বীকৃতিও বটে।
অবশ্য, ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ায় তেলআবিবে জেরবারের মুখে পড়তে হয়েছিল সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে।
ইইউভুক্ত হওয়ার আগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে দেয় ইউরোপের পূর্বাঞ্চলীয় দেশ বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, মাল্টা, পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া।