বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের পাতারচর গ্রামে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত আলমগীর সিকদারকে পুলিশ আটক করেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা শিশুর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে মুলাদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটক আলমগীর সিকদার সফিপুর ইউনিয়নের পাতারচর গ্রামের ছালাম সিকদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ধর্ষিতা শিশু ও আলমগীর সিকদার প্রতিবেশী। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই শিশুকে বাসায় রেখে তার বাবা-মা এক আত্মিয়ের বাড়িতে যায়। তাদের ফিরতে দেরি হওয়ার সুযোগে আলমগীর সিকদার ওই শিশুকে একা পেয়ে ঘরের মধ্যে মুখ চেপে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটি রক্তাক্ত হলে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ধর্ষক। সন্ধ্যার পর শিশুর বাবা-মা বাড়ি ফিরে তার রক্তক্ষরণ হতে দেখে কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে ধর্ষণের কথা বলে দেয়। পরে শিশুর বাবা-মা পাশ্ববর্তী লোকজনদের জানিয়ে বিচার দাবি করেন। ওইদিন রাত ১টার দিকে ৮ বছরের শিশুটিকে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার বাবা-মা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধর্ষিতা শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রাতেই শিশুটিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরণ করেন।
শিশুর বাবা বিষয়টি মুলাদী থানায় অবহিত করলে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আলমগীর সিকদারকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ধর্ষিতা শিশুর বাবা বাদী হয়ে আলমগীর সিকদারকে একমাত্র আসামি করে মুলাদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মুলাদী থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, শিশু ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত আলমগীরকে আটক করা হয়। অভিযোগ তদন্ত শেষে শিগগিরই আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার কথা জানান ওসি।