সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Slider জাতীয়

ঢাকা: ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুদের আন্দোলন নিয়ে কোনো প্রকার বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অপপ্রচারের কাজে ব্যবহার না করে গঠনমূলক কাজে ব্যবহারের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

আজ রোববার সকালে গণভবন থেকে ১০ জেলার ৩০০ ইউনিয়ন পরিষদে অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় দিয়া ও রাজীবের নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহপাঠী নিহতের ঘটনার শিশুরা রাস্তায় নেমেছে, তাদের সেন্টিমেন্টের জায়গাটা আমরা বুঝি। বিশেষ করে স্বজন হারানোর কষ্ট যে কতটা, সেটা আমি নিজেও বুঝি। তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা রয়েছে।

তবে এ আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ প্রবেশ করেছে। তারা ফেসবুকে নানা বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ আন্দোলন নিয়ে কোনো প্রকার বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপপ্রচার না করে তা গঠনমূলক কাজে ও শিক্ষাগ্রহণের কাজে ব্যবহার করুন।

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ প্রবেশ করেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের পিতা-মাতা, অভিভাবক ও শিক্ষক সবাইকে অনুরোধ করব তাদেরকে ঘরে ফিরিয়ে নিন। তাদের আন্দোলনে পুলিশ, র‌্যাব, মন্ত্রী, এমপি সবাই সহযোগিতা করেছে। কিন্তু এ আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ প্রবেশ করেছে। গত কয়েকদিনে ইউনিফর্ম এবং আইডি কার্ড বিক্রি বেড়ে গেছে। আমরা শঙ্কিত তারা শিশুদের হত্যা করতে পারে। তৃতীয় পক্ষ শিশুদের কোনো ক্ষতি করলে তার দায়ভার কে নেবে? তাদেরকে ক্লাসরুমে ফিরিয়ে নিন। তাদেরকে পড়াশুনায় মনযোগী করান। শিশুদের শিক্ষার জন্য সরকার সমস্ত কিছু করছে, যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশের আরো উন্নতি করতে পারে।
গতকাল জিগাতলায় হামলার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুজব ছড়ানো হয়েছে যে আওয়ামী লীগ অফিসে শিক্ষার্থীদের মেরে লাশ রাখা হয়েছে। এ বিভ্রান্তি দূর করার জন্য ছাত্রদের নিয়ে গিয়ে অফিসের ভেতর দেখানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শিশুদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন শুরু হয়েছে। তবে ট্রাফিক রুলের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। যত্রতত্র রাস্তা পার না হয়ে নিয়ম মেনে চলাচল করতে হবে। ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করতে হবে। স্কুল-কলেজের সামনে ট্রাফিক পুলিশ থাকবে যারা রাস্তা পারাপারে সহায়তা করবেন। সবাইকে ট্রাফিক আইন শিখতে হবে।

আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি পক্ষ আছে যাদের কাজই হল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। যারা ব্যাগে বইয়ের বদলে পাথর নিয়ে ঘোরে তারা কিভাবে ছাত্র হয়? আর কিছু পত্রপত্রিকা আছে যাদের কাজই হল গুজব ছাড়ানো।
এসময় প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তার স্মৃতিচারণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *