সম্পাদকীয়: সোনামনিদের বুলেটবিদ্ধ দেহ ও রক্তমাখা স্কুল ড্রেস আতঙ্কের কারণ হতে পারে!

Slider টপ নিউজ নারী ও শিশু সম্পাদকীয়

পরিস্থিতি এমন যে, রাষ্ট্রের কর্মচারীরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। রাজনীতি সামাল দিতে দিতে তারা সবই দেখছেন রাজনীতির মত। সকল সরকারের মত বিরোধী দলকে কোনঠাসা করতে করতে অভ্যস্থ হওয়া আইন শঙ্খলা বাহিনী এখন অনেকটাই মারমুখো। বলা যায়, বিপদ সীমায় আমাদের কর্মচারীরা।

পরিস্থিতি বলছে, কোটা আন্দোলন যখন চলমান, ঠিক তখন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে। সহপাঠির অকাল মৃত্যুর কারণে প্রতিবাদে উত্তাল এখন দেশ। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা অচল। রাজপথে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তারা ৯ দফা দাবি দিয়ে অচল করে ফেলেছে রাজধানী সহ পুরো দেশ। প্রতিবাদ হিসেবে আন্দোলনকারীরা যানবাহন ভাঙচূর ও অগ্নিসংযোগ করছে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আন্দোলনকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। আন্দোলন ও দমন দুটো মুখোমুখি হওয়ায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হচ্ছে, ঝরছে রক্ত। রক্তমাখা সোনামনিদের উপর আক্রমন করছে পুলিশ। অভিভাবকেরা দেখেছেন তাদের সন্তান রাজপথে মিছিল করছে। স্কুল কলেজে না গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করছে তারা। বুকে প্লেকার্ড ঝুলিয়ে রক্তমাখা সন্তানেরা এখন রাজপথের নেতা হয়ে গেছেন। পড়তে যাওয়া বাচ্চারা ঘরে ফিরবে কি ভাবে, সেটা নিয়েও উদ্বিগ্ন অভিভাবক। আহত বা নিহত বা রক্তাক্ত বা পুলিশ ভ্যানে বা হাজতেও হতে পারে কোমলমতি শিশুদের অবস্থান। এটা এখন সকলের জন্য উৎকন্ঠার বিষয়। আর পুলিশ যে ধরণের আচরণ শিশুদের সঙ্গে করছেন, তা নিয়ে লজ্জা বা ঘৃনা জানানোর ভাষাও হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।

সর্বশেষ পরিস্থিতি বলছে, আন্দোলনের কারণে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন দৃশ্য। বেশ কিছু দৃশ্য অতীতের সকল দৃশ্যকে অতিক্রম করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাধে নতুন নতুন ছবি মুহূর্তের মধ্যে পৌছে যাচ্ছে সকলের কাছে। আর তা দেখে সাধারণ মানুষ বিবেকের তাড়নায় ক্রমশ উত্তেজিত হচ্ছে। এতে সুফল নিচ্ছে সরকার বিরোধী মনোভাবাপন্ন মানুষ বা গোষ্ঠিও। ফলে দেশে যে কোন সময় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে যা সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন, সিটিকরপোরেশন নির্বাচনে অস্বাভাবিক ফলাফল ও সড়ক দূর্ঘটনায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় চলমান আন্দোলনে উত্তাল রাজপথ। সব মিলিয়ে দেশ এখন অশান্ত। অশান্ত সময়ে বিপদের অশনি সংকেত আসবে এটাই স্বাভাবিক। তাই সরকারের উচিত দ্রুত সমস্যা সমাধান করা। একই সঙ্গে মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও শাহজাহান খানের মত অশালীন ও লজ্জাজনক মন্তব্য করা থেকে সকলকে বিরত রাখা সরকারের উচিত।

ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *