মানবাধিকার দিবস, সর্বজনীন নির্বাচন এবং একটি প্রস্তাবনা

বাধ ভাঙ্গা মত

noman-1418149185আজ ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের ৬৬তম পূর্তি হলো। সকল মানুষের জন্য মৌলিক অধিকারসহ মানবাধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে সকল দলের ভাবনায় নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি এবং অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এটা স্পষ্ট যে, সকল প্রশ্ন, বিতর্ক, সংঘাত, অরাজকতা, অস্থিরতা, ধবংসাত্মক পরিস্থিতির বিপরীতে জবাবদিহীতা, সহিষ্ণুতা ও শান্তিকামীতাই পারবে প্রকৃত গণতন্ত্রের নির্বিঘ্ন চলার পথ রচনা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে। এ পরিস্থিতিতে সমস্যার একমাত্র সমাধান হতে পারে সকলের নিকট গ্রহণীয় একটি ব্যবস্থা উদ্ভাবন ও কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ। এ জন্য আমরা সর্বজনীন নির্বাচন পরিষদ ((Universal Election Council-UEC) গঠন করার প্রস্তাব করছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ভোটারদের স্বাধীন ইচ্ছায় গণতান্ত্রিক সরকার গঠন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে এই পরিষদ সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক দলগুলো দেশ পরিচালনা করবে ও ক্ষমতায় আসীন হবে। অপরপক্ষে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। এভাবেই এ দেশে গণতন্ত্র শেকড় পর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত জনকল্যাণমূলক ফল দিতে শুরু করবে। শান্তির জন্য কেবল ধৈর্য, পরমতসহিষ্ণুতা ও পরস্পর আদর্শিক শ্রদ্ধাবোধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে পারে।

সর্বজনীন নির্বাচন পরিষদের মূল ফ্রেমে যা থাকবে : সকল নির্বাচনে, প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত এবং গ্রহণীয় ফ্রেম অনুযায়ী হবে। সকলকে তা মানতে হবে। যেমন নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা ও আইন অনুযায়ী কালো টাকার মালিক, ঋণখেলাপী, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ এ ধরনের কোন ব্যক্তিকেই মনোনয়ন তালিকায় আনা হবে না। এ পরিষদ নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ, স্বাধীন, স্বচ্ছ, শক্তিশালী ও গতিশীলতায় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। এটি রাজনৈতিক দল, পেশাজীবি সংগঠন, সুশীল সমাজ, এনজিও নেটওয়ার্কসহ সুশাসন বিনির্মাণে গণতন্ত্র চর্চা ও ব্যবহারিকতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। নীতিগতভাবে এ পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত হলে, সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা ও আইনগত দিক বিবেচনান্তে এতে আরো সংযোজন বিয়োজন হতে পারে।

সর্বজনীন নির্বাচন পরিষদ গঠন ও মেয়াদকাল : জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু, গ্রহণীয় ও সর্বজনীনভাবে কার্যকর করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, জনপ্রতিনিধি, আগ্রহী ব্যক্তি, জোট ও পেশাজীবি সংগঠনের প্রতিনিধি সমন্বয়ে এ পরিষদ গঠন করবে। এ পরিষদ নির্বাচন কালে প্রার্থী প্রাক-মনোনয়ন, প্রচারণা, নির্বাচন পরিচালন ও ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সহায়ক দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন শুরু ও ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সহায়ক দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন শুরু ও ফলাফল প্রক্রিয়া পর্যন্ত দল-বিদল, মত ও পন্থা অনুযায়ী কারা কোথায়, কী ধরনের অবস্থান ও কার্যক্রম নিবেন তা রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধি অর্থাৎ এই পরিষদ একটি নির্দিষ্ট ফ্রেমে থেকে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিবে ও বাস্তবায়নে কাজ করবে। অর্থাৎ যার যার দল, মত-পথ অনুযায়ী যে যেখানে আছেন, সেখানেই নীতি আদর্শ নিয়ে কাজ করবেন ও অবস্থান নিবেন। এ পরিষদের মেয়াদকাল হবে নির্বাচন বছরে বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন থেকে পূর্বের ৯ মাস ও পরবর্তি ৩ মাস অর্থাৎ মোট ১২ মাস। এই পরিষদ নির্বাচন ফলাফল dispute সহ সমাধান পর্যন্ত একটা নীতিগত ফ্রেমে থেকে দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থে কর্মতৎপর থাকবে।

কাঠামো ও গঠন প্রণালী : ১. এই পরিষদের কাঠামো হবে পাঁচ স্তরবিশিষ্ট। যথা: ক. জাতীয় খ. জেলা গ. আসন, উপজেলা ঘ. ইউনিয়ন এবং ঙ. ভোট কেন্দ্র। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্ট ধাপের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, পেশাজীবি, ব্যবসায়ী, আইনজীবি ও এনজিও প্রতিনিধি এ পরিষদে সদস্য হবেন। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল থেকে ৩ জন করে প্রতিনিধি থাকবে। তারা হলো সংশ্লিষ্ট পর্যায়ের দলের ১. সভাপতি, ২. সেক্রেটারি ৩. সাংগঠনিক সম্পাদক।

এ কমিটির ব্যবস্থাপনায় ক. ইউনিয়ন, খ. নির্বাচনী এলাকা, গ. জেলা এবং ঘ. জাতীয়-এ চার পর্যায়েই সচিবিক ধাপ বা শাখার সভাপতিদ্বয় যৌথ সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। দলের অনুমোদনে জোটভুক্ত দলের সভাপতি বদল হতে পারে। ৩. নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ের কর্মকর্তা সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। ৪. ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ সদস্য বা বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ বা নির্বাচন কমিশন তালিকাভুক্ত নির্বাচনে দেশীয় এলাকা পর্যবেক্ষণ সংস্থা, এনজিও প্রতিনিধি যুগ্ম সচিব হবেন। ৫. নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কমিশনের বা EWG-The Asia Foundation-এরমাধ্যমে দলসমূহের সঙ্গে ওয়ার্কিং পেপার দিয়ে সংলাপের মাধ্যমে সর্বজনীন নির্বাচন পরিষদ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে, যেমনটি বিগত বছর ও বর্তমানেও বিভিন্ন ইস্যু ও ক্ষেত্রে চলছে।

মনোনয়ন কাঠামো : নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া নির্বাচনী এলাকায়ই প্রায় সমাপ্ত হবে। বাংলাদেশে অনেক গ্রহণীয় বেসরকারি, পেশাজীবি সদস্যভিত্তিক সংগঠন রয়েছে তারা প্রার্থী মনোনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মনোনয়ন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে নির্বাচন ফলাফল পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে এ পরিষদ কাজ সমাধা করবে। এ ছাড়া যোগ্য প্রার্থীর রূপরেখা ও মাপকাঠি পরিষদ ও নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনে আলোচনাক্রমে নির্ধারণ করে নিবে।

প্রার্থী মনোনয়ন কে ঠিক করবে ও কীভাবে করবে : স্থানীয়, দলীয় বা নির্বাচক মণ্ডলীর প্রস্তাবে ও সমর্থনে প্রতি এলাকায় গঠিত দলীয় কমিটি প্রার্থী মনোনয়ন করবে। জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটি কেবল অনুমোদন দিবে। সর্বজনীন নির্বাচন পরিষদ সংসদ এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে ২ বার ২টি জনসভা করবে। প্রথমটি অবহিতকরণ ও প্রস্তুতি সভা। সভার স্থান ইউনিয়ন পরিষদ অঙ্গন বা উদ্যোক্তাদের আলোচনাক্রমে যে কোনো খোলা জনসমাগমস্থল, মাঠ হতে পারে। উভয় সভার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে মাইক, চুঙ্গা, ঢোলসহ বা স্থানীয় যে কোনো বা সাধ্যমত সকল প্রকার প্রচারণার ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে স্থানীয় জনগণের সমর্থনে মনোনয়ন প্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয়। সকল ইউনিয়নে জনসভা শেষ করে উপজেলা পরিষদ, সংসদ এলাকা পর্যায়ে বৃহৎ জনসভার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে দলীয়ভাবে প্রস্তুত সকল তালিকাভুক্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সর্বজনীন নির্বাচন পরিষদ তার এলাকা থেকে প্রাপ্ত তালিকার সকল প্রার্থীর অংশগ্রহণে ‘ছাকুনি-ঝাকুনি’র মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী তালিকা তৈরি করবে। এলাকায় ভালোর পক্ষে অবস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সততা, সাহস, গ্রহণযোগ্যতা, মনোবল, ইচ্ছা ইত্যাদি যাচাই বাছাই করে জেলা কমিটির কাছে তালিকা জমা দিবে। জেলা কমিটি যাচাই বাছাই করে জাতীয় কমিটির কাছে তালিকা পৌঁছাবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলওয়ারী বাছাই চূড়ান্ত করে মনোনয়নের জন্য জাতীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করবে যা বিদ্যমান নিয়ম নীতির মধ্যে রয়েছে এবং গত নির্বাচন বিগত সমূহে ২-১টি দল কিছু কিছু আসনে অনুশীলনও করেছে। এ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সর্বজনীন নির্বাচন পরিষদ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপে যাবে।

নির্বাচনী প্রচারণা : সকল প্রার্থী দলীয় বা নির্দলীয়, স্বতন্ত্র একই সাইজের এক রং এর পোস্টার ব্যবহার করবে, যা নির্বাচন কমিশন নীতিমালায় আছে। প্রতি গ্রাম, পাড়া, ইউনিয়ন, জনমসাগমস্থল, বাজার কেন্দ্রে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে পুরো এলাকা মিলে মোট ২০-২৫টি সভা হবে। একই মঞ্চে সকল প্রার্থী যার যার নির্বাচনী ওয়াদা ও আদর্শসহ বক্তব্য রাখবেন।

নির্বাচনী ব্যয় : কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীকে সরাসরি বা দলকে নির্বাচনী ফান্ড দিতে পারে বা প্রার্থীরা প্রার্থী প্রতি দশ লাখ টাকা আসন পর্যায়ে পরিষদে জমা দিলে তা দিয়ে, পুরো বারো মাসের কার্যক্রম সমাপ্ত করা যাবে। নির্বাচনী ব্যয় কমালে নির্বাচন সহনীয় হবে। ফলে কালো টাকা মালিকদের দাপট কমবে। সৎ, সজ্জন ও যোগ্য প্রার্থীদের পক্ষে মনোনয়ন পাওয়া সহজ হবে। এখন নির্বাচনী ব্যয়ের অজুহাত তুলে অনেক সৎ ও সজ্জন ব্যক্তিকে রাজনৈতিক দল মনোনয়ন দিচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর মনোনয়ন ফি অন্তত নিজ আয় হতে জমা দিতে হবে। নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বিদ্যমান নিয়ম কাঠামো এ পরিষদ প্রয়োজনে আলোচনায় আনতে পারবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় মনিটর করবে মর্মে ঘোষণা দিয়েছে।

‘কলা গাছে ভোট দিন’ এমন পরিবেশের পাশাপাশি ‘প্রত্যাশিত প্রার্থীকে ভোট দিন’- এ আন্দোলনকে আদর্শিক রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সুশীল সমাজ এবং বিবেকবান ব্যক্তিদের অবশ্যই এগিয়ে নিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রবক্তারা অংশ নিয়ে আজকের সাধারণ মানুষের দাবি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, কালো টাকা, ঋণখেলাপী ও মিথ্যা উন্নয়ন প্রবক্তাদের হাত থেকে উদ্ধার করার পথ রচনার কাজ আমাদের শুরু করতেই হবে। যে পথে বৈষম্যহীন স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে, শোষণহীন সমাজ ও অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে, মুক্তিযুদ্ধ এবং গণতন্ত্রের স্বাদ ও সুফল দেশবাসী সমভাবে ভোগ করবে।

তাই আসুন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সকলের নিকট গ্রহণীয় করতে ক. সর্বজনীন নির্বাচন পরিষদ (তৃণমুল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত) গঠন করি খ. সৎ, যোগ্য, ভালো মানুষের রূপরেখা ও সংজ্ঞা অনুশীলন করি ও বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ ইউনিয়ন থেকে বাছাই শুরু করে, সংসদ এলাকাভিত্তিক প্রার্থী মনোনয়ন দেই গ. দুর্নীতি, অপনীতি, সন্ত্রাস, কালো টাকা, ঋণখেলাপী, ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটধারী ক্ষমতালিন্সু রাজনৈতিক নামধারী প্রার্থী ও মিথ্যা উন্নয়ন বুলি প্রবক্তাদেরকে প্রত্যাখান করি ঘ. নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করি, ঙ. সর্বজনীন নির্বাচন পরিষদ গঠনের মাধ্যমে আদর্শিক রাজনৈতিক কালচার সৃষ্টি করি। আসুন, আমরা সবাই এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেই, বাস্তবে রূপ দেই।

তাই এখন থেকে এ পর্যায়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন, ইডব্লিউজি, বামাসপ বা সুশাসন, মানবাধিকার ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে কাজ করে এ ধরনের উদ্যোক্তা সংগঠন সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা, বৈঠক, সাক্ষাৎ, সংলাপ, রাউন্ড টেবিল ধরনের আলোচনা জাতীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে শুরু করতে পারে। বামাসপ প্রাথমিকভাবে যোগসূত্র ধারা আরম্ভ করবে। এ প্রক্রিয়ায় সর্বজনীন নির্বাচন পরিষদকে এগিয়ে নেয়ার জন্য মিডিয়ার ধারাবাহিক প্রমোশনাল কভারেজ অতুলনীয় ফল দেবে। নির্বাচন ব্যবস্থা ও পদ্ধতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ করে মিডিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহবান জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *