ঢাকা: আইন অনুসারে দেশের বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষাসহ চিকিৎসাসেবাবিষয়ক মূল্যতালিকা ও ফি ওখানকার পাবলিক প্লেসে (প্রকাশ্য জায়গায়) ১৫ দিনের মধ্যে টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত ১৯৮২ সালের দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স অনুসারে বিধিমালা তৈরি করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে ওই তিন বিবাদীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী আদেশের জন্য ৭ অক্টোবর দিন রেখেছেন আদালত।
ওই অধ্যাদেশের বিধান যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম চলতি মাসে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সংগঠনের সভাপতি ও আইনজীবী বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদা পারভীন।
মাসুদ হাসান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ওই অর্ডিন্যান্সের ৯ ধারা অনুসারে লাইসেন্স দেওয়াসহ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল কেন তদারকি করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। অর্ডিন্যান্সের ১৫ ধারা অনুসারে বিধিমালা প্রণয়ন এবং ১৬ ধারা অনুসারে পরীক্ষাসহ চিকিৎসাসেবাবিষয়ক ফিস কেন নির্ধারণ করা হবে না, এ মর্মেও রুল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিধিমালা প্রণয়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। আগামী ৭ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আদালত। এ বিষয়ে সেদিন রাষ্ট্রপক্ষকে অগ্রগতি জানাতে মৌখিকভাবে বলেছেন আদালত।
রুলে চলমান হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স অনুমোদন এবং তাদের সেবা তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৮২ সালের দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স অনুসারে বিধিমালা তৈরির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সব জেলা সদরের হাসপাতালে আইসিউ বা সিসিইউ ইউনিট স্থাপনে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।