গাজীপুর: জমি দখল, ফুটপাত, আবাসিক হোটেল, মাদক বিক্রয় কেন্দ্র সহ অপরাধ সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থানে তথ্য সংগ্রহ করার অজুহাতে কতিপয় সাংবাদিক চাঁদাবাজীতে জড়িয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সকল অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে বিব্রত হচ্ছে পুলিশও, এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মহানগরে রিক্সা, অটোরিক্সা সহ ছোট ছোট যানবাহনে নিয়মিত চাাঁদাবাজী হয়। এ ছাড়া ফুটপাত, আবাসিক হোটেল, মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে তথ্য সংগ্রহের অজুহাতে কতিপয় সাংবাদিক চাাঁদাবাজী করছেন। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে পুলিশও হিমশিম খাচ্ছে। চাাঁদাবাজীর সঙ্গে জড়িত থাকায় কতিপয় সাংবাদিক বা সাংবাদিকদের গ্রেফতার করতে পুলিশ বিব্রত হচ্ছে। ফলে চাাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ মানুষ আরো অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, কতিপয় সাংবাদিক মাদক সেবনের সঙ্গেও জড়িয়ে গেছেন। দিনের বিশেষ কিছু সময় মোবাইল ফোনে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অংসংলগ্ন কথা বলেন ও লিখেন। ফলে তাদের পেশাদারিত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ছে। আবার কিছু কিছু সাংবাদিক আছেন, তাদের কোন খবর লিখতে হয় না। খবর তৈরীর প্রয়োজনও হয় না তাদের। আবার বিশেষ প্রয়োজনে কপি পেষ্ট করে চালিয়ে দেন। তাই তাদের হাতে অফুরন্ত সময় থাকায় অলস সময় খারাপ কাজে ব্যবহার করেন। ফলে সাংবাদিক পরিচয়ে অপরাধ বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেছেন, কতিপয় চাাঁদাবাজ সাংবাদিকদের কারণে চাাঁদাবাজী বন্ধ করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ চাাঁদাবাজী অভিযোগের কোন না কোন অংশে কতিপয় সাংবাদিক জড়িত। বিষয়টি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন বলে জানান।