অল্প-বিস্তর বৃষ্টিতে ভিজলে একেবারেই শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং মন ও মস্তিষ্ক একেবারে চাঙ্গা হয়ে যায়। একাধিক গবেষণার পর দেখা গেছে বৃষ্টিতে ভিজলে হাজারো রোগ শরীরকে আক্রমণ করবে, এই ধরণা একেবারেই ভুল। বরং একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। কীভাবে এমনটা হয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে…
পেটের রোগের প্রকোপ কমে: শুনতে অবাক লাগলেও একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩ চামচ বৃষ্টির পানি খেলে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস-অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে।
চুলের সৌন্দর্য বাড়ে: অনেককে বলতে শুনেছি বৃষ্টিতে ভেজার পর শ্যাম্পু না করলে নাকি চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এই ধরণা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। কারণ বাস্তবে একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। বিশেষজ্ঞদের মতো বৃষ্টির পানি বিশুদ্ধ হয়। ফলে এই পানি দিয়ে চুল ধুলে একাধিক ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা ধুয়ে যায়। ফলে চুলের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি খুশকি সহ নানাবিধ রোগের প্রকোপও কমে।
শরীর থেকে টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায়: বেশ কিছু গবেষক মনে করেন বৃষ্টির পানি চরিত্রে অ্যালকেলাইন। অর্থাৎ এই পানি পান করেল শরীরের অন্দরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। এখানেই শেষ নয় অ্যালকালাইন রক্তের পি এইচ লেভেলকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে। ফলে শরীরে অ্যাসিডির মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে একাধিক রোগের প্রকোপ হ্রাস পায়।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: বারিবর্ষণের সময় পরিবেশ উপস্থিত জলীয় বাষ্প ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল হয়। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির পর পর জলীয় বাস্প বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিবেশে উপস্থিত একাধিক ক্ষতিকর জীবাণুর কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেই সঙ্গে ত্বক আরও উজ্জ্বল এবং সুন্দর হয়ে ওঠে। কারণ সেই একই! বৃষ্টির পানি ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই স্কিন তার হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরে পায়।
নিমেষে স্ট্রেস লেভেল কমে যায়: বেশ কিছু কেস স্টাডি করে গবেষকরা দেখেছেন, তুমুল বৃষ্টিতে ৫ মিনিট ভিজলে স্ট্রেস লেভেল একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের ক্লান্তিও দূর হয়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে আজকের দিনে যে যে মরণ রোগের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তার বেশিরভাগের সঙ্গেই স্ট্রেসের যোগ রয়েছে। তাই বুঝতে নিশ্চয় অসুবিধা হচ্ছে না যে শরীরকে সুস্থ রাখতে বৃষ্টিতে ভেজা কতটা জরুরি।