রাশিযা বিশ্বকাপ কাভার করতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সাংবাদিকদের নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। দিন-রাত এক করে তারা শুধু ছুটে চলেছেন খবরের খোঁজে। নতুন খবর। সাড়াজাগানো খবর। আর তিনি নিজেই খবর হয়ে বসে রয়েছেন। ইরান থেকে আসা তিনিই প্রথম নারী ক্রীড়া সাংবাদিক যিনি কিনা বিশ্বকাপ কভার করছেন। এমন দারুণ সুযোগ পেয়ে শিরমারদি সেয়েদেসামিরা নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন।
শিরমারদি বলছিলেন, ‘ইরানে সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন নারী ক্রীড়া সাংবাদিক রয়েছে। আমাদের দেশে নারীদের গ্যালারিতে বসে ফুটবল ম্যাচ দেখায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিশ্বকাপ কভার করতে আসার আনন্দ বলে বোঝাতে পারব না। অনেকটা প্রথমবার গ্যালারি থেকে ফুটবল ম্যাচ দেখার মতো অনুভূতি হচ্ছিল। আমি মূলত ফুটবল কভার করি। তার বাইরে কুস্তি কভার করি। ইরানে কুস্তি খুব জনপ্রিয় একটা খেলা।’
ইরান থেকে আজ পর্যন্ত কখনও কোনো নারী ক্রীড়া সাংবাদিক বিশ্বকাপ কভার করতে আসেননি। শিরমারদি প্রথম। রাশিয়ায় আসার পর থেকে এখানকার ফুটবল সংস্কৃতির প্রেমে পড়েছেন তিনি। আর সেইসঙ্গে স্বপ্ন দেখছেন, একদিন তার দেশেও নারীদের উপর থেকে সমস্ত ফতোয়া উঠে যাবে। পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে কাজ করবে ইরানের মেয়েরা।
শিরমারদি বলছিলেন, ‘একদিন নিশ্চয়ই পরিস্থিতি বদলাবে। এই যেমন আমার রাশিয়ায় আসাটাই তো সেই পরিবর্তনের ছোট্ট ইঙ্গিত। অদূর ভবিষ্যতে অনেক মেয়েরাই নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে।’