আর্জেন্টিনা বধের নায়ক কে এই এমবাপ্পে?

Slider খেলা

093157_bangladesh_pratidin_bdp_2

রাশিয়া বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচেই গতকাল রাতে মুখোমুখি হয়েছিল আসরের অন্যতম দুই শক্তিশালী দল ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের এবারের আসর থেকে বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনা বধের নায়কের নাম কিলিয়ান সানমি এমবাপ্পে লত্তিন।
ফরাসি এই পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এমবাপ্পের জন্ম ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের বন্দিতে। স্ট্রাইকার হিসেবে তিনি মোনাকো থেকে ধারে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে খেলছেন। পাশাপাশি ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলের অংশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

এমবাপ্পে একজন খেলোয়াড় পরিবারের সন্তান। তার পিতা উইলফ্রিড ক্যামেরুন থেকে ফ্রান্সে আসেন। তিনি এমবাপ্পের প্রতিনিধি এবং এএস বন্দির কোচ হিসেবে কর্মরত। তার দত্তক নেওয়া ভাই জাইরে কেম্বো একোকোও একজন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তার মা ফায়জা আলজেরীয় বংশোদ্ভূত এবং তিনি একজন হ্যান্ডবল খেলোয়াড়।

তার ছোট ভাই আদেয়েমি এমবাপ্পে।
বাবা উইলফ্রিডের অধীনে এমবাপ্পের খেলোয়াড়ি জীবনের শুরু। পরে তিনি প্রখ্যাত ক্লেয়ারফন্তেইন একাডেমিতে ভর্তি হন। তার ক্রীড়া নৈপুণ্যের জন্য বিভিন্ন ফরাসি ক্লাব এবং স্পেনীয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও ভ্যালেন্সিয়া তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করে। এমবাপে ১১ বছর বয়সে ইংরেজ ক্লাব চেলসিতে যান এবং সেখানে যুব দলের হয়ে চার্ল্টনের বিপক্ষে একটি ম্যাচও খেলেন। পরে এমবাপ্পে এএস মোনাকোতে থিতু হন।

রাশিয়া বিশ্বকাপের নকইউট পর্বে মূলত এই এমবাপ্পের কাছেই হার মানে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল দিয়ে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন আঁতোয়া গ্রিজমান। এরপর ৪১ মিনিটে এসে আর্জেন্টাইনদের আশাবাদী করে তোলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। মেসির কর্নার থেকে দারুণ দক্ষতায় ফ্রান্সের জালে বল পাঠান তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে এসে তৃতীয় মিনিটেই ডি-বক্স থেকে শট নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। গাব্রিয়েল মের্কাদোর পায়ে লেগে বল চলে যায় ফ্রান্সের জালে। তবে ৫৭ মিনিটে ডিফেন্ডার লুকা এরনদেজের কাছ থেকে বল পেয়ে বেঞ্জামিন পাভার্ড স্কোরলাইন আবারো ২-২ গোলে সমতা ফেরান। ৬৪ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে স্কোরলাইন হয়ে যায় ৩-২। ৪ মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোল করে পরিসংখ্যান ৪-২ গোলে নিয়ে যান এমবাপ্পে। অলিভিয়ে জিরুদের পাস থেকে দারুণ দক্ষতায় ডি-বক্স থেকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান পিএসজির এই স্ট্রাইকার।

ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে আর্জেন্টিনাকে আবারও এগিয়ে দেন সার্জিও আগুয়েরো। শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টিনা আরেকটি শট নিলেও ম্যাচ শেষ হয় ৪-৩ ব্যবধানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *