একাদশে ভর্তিতে বেশি টাকা নিচ্ছে ঢাকার অনেক কলেজ

Slider শিক্ষা

133936hscc-1_kalerkantho_pic

একাদশে ভর্তির প্রথম দিনেই গতকাল বুধবার অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ বাণিজ্যিক কলেজ ভর্তিতে বেশি টাকা নিচ্ছে। নীতিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৯ হাজার টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও ২৭ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আন্ত শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীদের মনোনীত করে দিলেও রাজধানীর কিছু নামিদামি কলেজ তৃতীয় ধাপের শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিতে চাচ্ছে না।

রাজধানীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ একাদশে ভর্তিতে নিচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া তারা দুই বছরের মোটা অঙ্কের প্যাকেজ ফিও নিচ্ছে। ‘আমরা ভর্তিতে এককালীন ২৫ হাজার টাকা নিচ্ছি। জিপিএ ৫ থাকলে বেতন এক রকম আর এর নিচে থাকলে আরেক রকম। আমাদের চার ধরনের প্যাকেজ আছে। দুই লাখ ৬১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে চার লাখ টাকা পর্যন্ত। যদি বেতন হিসেবে দিতে চান তাহলে জিপিএ ৫ পেলে মাসিক ৯ হাজার, জিপিএ ৪ পেলে ১২ হাজার আর এর নিচে থাকলে আরো বেশি।’ একজন অভিভাবককে এ নির্দেশনা দিচ্ছিলেন ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ গুলশান শাখার কাউন্সেলর লুনা পারভীন।

রাজধানীর কমার্স কলেজ ভর্তিতে প্যাকেজ হিসেবে নিচ্ছে ১৩ হাজার ৩০০ টাকা। তবে মূল ভর্তিতে তারা ৯ হাজার টাকা দেখাচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে ড্রেসসহ অন্যান্য খাত দেখিয়ে। এ ছাড়া অনেক কলেজ ভর্তিতে সরকার নির্ধারিত টাকাই নিচ্ছে। কিন্তু ভর্তির পর পর বিভিন্ন খাত দেখিয়ে গত বছরের মতো অতিরিক্ত টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করছে।

রাজধানী ঝিগাতলায় একটি কলেজে ভর্তিতে একবারে নিচ্ছে ২৭ হাজার ২৭০ টাকা। এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে সিকিউরিটি মানি হিসেবে, যা ফেরতযোগ্য বলা হচ্ছে। ভর্তির সঙ্গে এক মাসের টিউশন ফি নেওয়া হয়েছে দুই হাজার ৫০০ টাকা। বাকি টাকার খাত হিসেবে দেখানো হয়েছে ভর্তি ফি সাড়ে চার হাজার, উন্নয়ন ফি তিন হাজার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ ফি এক হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে ল্যাব ফি, ক্রীড়া ফি, সিলেবাস ও বুকলিস্ট ফি, ছাত্র কল্যাণ ফি, শ্রেণি কল্যাণ ফিসহ অসংখ্য খাত।

গতকাল বুধবার অনেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শকের দপ্তরে যায়। কেউ কেউ যায় ভর্তিতে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে, কারোর অভিযোগ ভর্তি হতে না পারা। তবে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী এসেছে আবেদন করেও ভর্তির জন্য কোনো কলেজ না পাওয়ার সমস্যা নিয়ে।

জানা যায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ভিকারুননিসায় ভর্তির জন্য এক হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে মনোনীত করে দিয়েছে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে তাদের আসন এক হাজার ৪০০। তাই বাকি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহেদুল খবির চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ভর্তিতে কত টাকা নিতে হবে, তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এরপর যদি কোনো কলেজ ভর্তিতে বেশি টাকা নেয় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘যারা এখনো ভর্তির সুযোগ পায়নি তাদের নতুন করে আবারও ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই আবার অনলাইনে আবেদন অথবা সরাসরি ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *