চার জেলায় ‘ বন্দুকযুদ্ধে ‘ নিহত ৪

Slider সারাদেশ

120349_ad

ঢাকা: বগুড়া, ময়মনসিংহ, রংপুর ও দিনাজপুরে বন্দুকযুদ্ধে ৪ জন নিহত এবং দুই জন আহত হয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তারা সকলেই মাদকব্যবসায়ী। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাগুলো ঘটে।

বগুড়া শহরতলীর মাটিডালি এলাকায় রাত ৩টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে লিটন ওরফে রিগান (৩২) নামের এক মাদকব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাত পৌনে ৪টায় তিনি মারা যান।
থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত ৩টার দিকে শহরতলীর মাটিডালী এলাকায় ডিবি পুলিশের সাথে মাদক কারবারিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একদল মাদক ব্যবসায়ী মাটিডালী বিমান মোড়ের পাশে কমার্স কলেজ সংলগ্ন এলাকায় মাদকের চালান হাতবদল করছে সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল জেলা ডিবি’র ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সেখানে যায়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালাতে থাকলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পালটা গুলি করে তাদের পিছু ধাওয়া করে। কিছুদূর গিয়ে একজনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাত পৌনে ৪টায় রিগান মারা যান। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি চাপাতি এবং আহত ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী লিটন ওরফে রিগ্যানের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মোট ৫টি মাদকের মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের ২ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালী রেলওয়ে ব্রিজের নিচ থেকে গুলিতে নিহত দুই মাদক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মুন্না মিয়া (৩৫) ও ইদ্রিস আলী (৪৫)। আজ সকাল ১১টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা তাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে।

তিনি জানান, আমরা জানতে পেরেছি নিহত মুন্না মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ১২টি ও ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিজেদের কোন্দলে প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা গেছেন তারা।

রংপুরের বিড়ি শিল্প নগরী হিসেবে খ্যাত কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে রবিউল ইসলাম নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

কাউনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আজিজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আজ ভোর ৫টার দিকে হারাগাছ এলাকায় একদল মাদক ব্যবসায়ী মাদক নিয়ে অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে মাদক ব্যবসায়ীরা । পুলিশ জীবন রক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে রবিউল ইসলাম নামের একজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কিছু মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত রবিউল ইসলাম এক কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ১০টি মাদকের মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

এদিকে দিনাজপুরে আজ ভোর রাতে পৃথক দুটি বন্দুক যুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। আহত দুজনকেই পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দিনাজপুরে এম, আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উভয় স্থান থেকে পুলিশ মাদক ও ককটেল উদ্ধার করেছে।

পুলিশ জানায়, রাত আড়াইটায় দিনাজপুর সদর উপজেলার গোদাগাড়ি এলাকায় দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে পায়ে গুলিবিদ্ধ লুৎফর রহমান নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে দিনাজপুরে এম, আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। একই সময় হাকিমপুর উপজেলায় হিলির চুড়িপট্টি এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আলাউদ্দিন চিকা (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *