টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের নিহত হওয়ার ঘটনার অডিও ক্লিপটি সরকারের হাতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেছেন, কোনো হত্যা বা দুর্ঘটনা আমাদের তদন্তের বাইরে নয়। কেউ নিহত হোক এটি আমাদের কাম্য নয়। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আজ রবিবার রাজধানীর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক দেশব্যাপী মাদকবিরোধী ফেস্টুন বিতরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে আমি বিভিন্নভাবে কথা বলতে চেষ্টা করেছি। মাদক যে একটি সর্বনাশা সেই দিকগুলো আমরা তুলে ধরতে চেষ্টা করছি। আজকেও ঠিক সেই চেষ্টাই করছি আমরা। তার অংশ হিসেবেই লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি।
তিনি আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে সমাজের সবাইকে নিয়ে। কিছুতেই আমাদের যুবক ও তরুণদের পথ হারাতে দেব না। আসুন সবাইকে নিয়ে আমরা মাদক নির্মূল করি।
একরামের মৃত্যু সম্পর্কে জানা গেছে, ২৯ মে দিবাগত রাত ১টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালিয়াপাড়ায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন টেকনাফ পৌরসভার তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর একরামুল হক। তিনি টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়ার মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে।
এ ছাড়াও তিনি টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের ১৩ বছর দায়িত্বপালনকারী সাবেক সভাপতি, টেকনাফ বাস স্টেশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও টেকনাফ মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক ছিলেন।