শাশুড়ি প্রিন্সেস ডায়ানার একুয়ামেরিন রিং ও ব্রেসলেট পড়ে শ্রদ্ধা প্রকাশ মেগানের

Slider বিচিত্র

118141_dayna

ঢাকা: প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানা ও শাশুড়ি প্রিন্সেস ডায়ানার প্রতি বিশেষভাবে শ্রদ্ধা প্রকাশ করলেন সদ্য বৃটিশ রাজবধু মেগান মার্কেল, ডাচেস অব সাসেক্স। এখন থেকে অনেক দিন আগে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তার শাশুড়ি ডায়ানা। তখন প্রিন্স হ্যারি অনেক ছোট। আজ তিনি পরিণত। জীবনের সঙ্গে গেঁথেছেন মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে। শনিবার বৃটেনে দু’জনে গাঁটছড়া বাঁধলেন আনুষ্ঠানিকভাবে।

সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ তা প্রত্যক্ষ করেছে। টেলিভিশনের নিয়মিত সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। সরাসরি ও বিশেষ পর্ব প্রচার করতে থাকে দিনভর। পুরো বৃটিশ জাতি যেন এদিন মেতে ছিল এই বিয়ে নিয়ে। একুশ শতাব্দীতে এসে এটিই বৃটিশ রাজপরিবারের সবচেয়ে আলোচিত বিয়ে। এ দিন ‘লিলি হোয়াইট’ রঙের সান্ধ্যকালীন সিল্কের পোশাক পড়ে সন্ধ্যার দিকে বের হয়ে আসেন নতুন ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল (৩৬)। তার এ পোশাকটির ডিজাইনার স্টেলা ম্যাককার্টনি। তারা উইন্ডসোর ক্যাসেলে সেইন্ট চ্যাপেলে একজন আরেকজনের হাতে আংটি পরিয়ে দেন। তবে এ সময় অর্থাৎ সন্ধ্যার আয়োজনে মেগানের হাতে ছিল নতুন একটি অলঙ্কার। সেটি কি?

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত পিপল ম্যাগাজিন নিশ্চিত করছে, সেই অলঙ্কারটি ছিল তার শাশুড়ি প্রিন্সেস ডায়ানার হাতের আংটি। সেটি মেগান মার্কেল পরেছিলেন তার ডান হাতে। যখন তিনি সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে ফটোসাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নেড়েছেন তখন তা দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আংটিটিকে বলা হয় একুয়ামেরিন রিং। ১৯৯৭ সালে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টিতে ডায়ানা তার পোশাক নিলামে তুলেছিলেন। সেখানে তার হাতে ছিল ওই একুয়ামেরিন রিং। এটা খুবই বিখ্যাত একটি আংটি। এই আংটিটিই সব নয়। এটি একটি সেটের অংশ। এর অন্য অংশ হলো একটি একুয়ামেরিন ব্রেসলেট। ওই আংটিটির সঙ্গে তা ৫টি হিরা দিয়ে যুক্ত ছিল। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এক গালা নৈশভোজে তিনি এ দুটিই পরেছিলেন। বহু বছর পর সেই আংটি উঠে এলো মেগান মার্কেলের হাতে। তিনি প্রমাণ করে দিলেন সময় অতীতের গর্ভে চলে গিয়েছে। কিন্তু তিনি তার প্রয়াত শাশুড়ি, অপরূপা প্রিন্সেস ডায়ানাকে অবজ্ঞা করেন নি। তাকে তিনি ভুলে যান নি। তার জন্য বিশেষ সম্মান তার বুকের কোণে রয়েছে। তার আংটি হাতে পরে তিনি তার স্পর্শ পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এই আংটিই যেন তার কাছে ডায়ানার আশীর্বাদ হয়ে বর্ষিত হচ্ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *