বাঘ সিংহের খাবারের জন্য সাফারি পার্কে খরগোশ চাষের প্রকল্প

Slider ঢাকা

IMG_20180228_181708

রাতুল মন্ডল শ্রীপুর (গাজীপুর)প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ বাঘ সিংহের খাবার যোগাতে চালু করতে যাচ্ছে খরগোশ চাষ প্রকল্প। ইতি মধ্যেই বেলজিয়াম থেকে আনা হয়েছে দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচটি ফ্লেমিশ জায়ান্ট খরগোশের বাচ্ছা।এসব খরগোশ বছরে ৮ থেকে ১০ বার বাচ্চা দেয়। বাঘ সিংরেহ খাবারের চাহিদা পুরণে পার্ক কতৃপক্ষ খরগোশের নিজস্ব খামার গড়ে তুলতেই এসব খরগোশ আমদানি করেছে।

পার্কের ওয়াইড লাইফ সুপার ভাইজার মোঃ সরোয়ার হোসেন জানান, পার্কের বাঘ সিংহ ভাল্লুক ও অজগর সাপ কে সপ্তাহে একদিন খরগোশ খেতে দেয়া হয়। এতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কেজি খরগোশের প্রয়োজন পরে। চাহিদা পূরণ করতে এযাবৎ ঠিকাদারদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ফার্ম থেকে খরগোশ সংগ্রহ করা হতো। দ্রুত বর্ধনশীল খরগোশ পালনের মাধ্যমে পার্কের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হলে এতে অর্থ ব্যয় সাশ্রয় হবে। তিনি আরোও জানান বেলজিয়াম থেকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী তিনটি এবং পরে আরও দু’টি সহ পাঁচটি জায়েন্ট খরগোশ আনা হয়। বর্তমানে এদের বয়স চার থেকে পাঁচ মাস। এ জাতের খরগোশ প্রতি বারে ৩ থেকে ৫ টি বাচ্চা প্রসব করে থাকে। বছরে এদের ওজন দাড়ায় সাত থেকে আট কেজিতে।

জায়েন্ট খরগোশ সাধারণত ৫ থেকে ৬ মাস বয়সেই বাচ্চা দিয়ে থাকে।বিদেশী প্রাণী হওযায় পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়ে বাচ্চা প্রসবের সময় বিলম্বিত ও হতে পারে। পার্কের বিশেষ পরিবেশে এসব খরগোশকে খাদ্য হিসেবে দেয়া হচ্ছে গাজর, নাস্পাতি, ছোলা,বাদাম, কচি ভুট্টা।সূত্র মতে প্রতি শুক্রবার পূর্ণ বয়স্ক বাঘ -সিংহ –ভাল্লুক ও অজগর সাপ কে দু’কেজি এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদে আধা থেকে এক কেজি ওজনের জ্যান্ত খরগোশ খেতে দেয়া হয়। বাকি দিন গুলোতে ওই সব প্রাণীকে গরুর মাংস খেতে দেয়া হয়। পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোতালেব হোসেন জানান, পার্কে বাঘ সিংহ ভাল্লুক ও অজগর সাপের খাদ্য যোগাতে খরগোশ পালন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পার্কের প্রাণী গুলো উন্নত খাবার পাবে পাশা পাশি আর্থিক ব্যয় ও কমবে। উল্লেখ্য পার্কে বর্তমানে ৯টি বাঘ, ২৪টি সিংহ,১৪টি ভাল্লুক ও ৯টি অজগর সাপ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *