মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্যাতন-নিপীড়নের পরিণতিতে জাতিসংঘের মতে হাজার হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। তবে মিয়ানমার থেকে যেভাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে বিতাড়িত করা হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আওতায় পড়বে কিনা, তা জানতে চেয়েছেন আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ফাতোও বেনসোউদা। এ বিষয়ে একটি রুল চেয়ে গত সোমবার হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসি।
আবেদনে তিনি জানান, এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আওতায় পড়বে কিনা, তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ এই আদালতের সদস্য, কিন্তু মিয়ানমার সদস্য নয়। তবে আবেদনে বলা হয়েছে, জোর করে কোনো দেশের বাসিন্দাদের আন্তর্জাতিক সীমানার বাইরে ঠেলে দেয়া সব দিক থেকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মধ্যে পড়ে। বেনসৌদা তার আবেদনে আরও বলেন, আদালত এই বিষয়টিকে আওতাভুক্ত হিসাবে বিবেচনা করতে পারে। যেহেতু আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে অপরাধটি ঘটছে এবং আদালতের সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড তার শিকার হচ্ছে।
সম্প্রতি অ্যামনেস্টির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কিভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সরকারের বহু বছর ধরে চলা বৈষম্য ও নিষ্ঠুর দমনপীড়ন চলমান সংকট ডেকে এনেছে তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। একশ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের যেভাবে নিষ্ঠুর ও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তা ‘বৈষম্যজনিত মানবতাবিরোধী অপরাধের’ সংজ্ঞায় পড়ে।