আবহমান কাল থেকে বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য পিঠা উৎসব। আর সে ধারাকে অব্যাহত রাখতে রিয়াদে অনুষ্ঠিত হল বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠামেলা।
রিয়াদের অন্যতম সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন “আমরা ক’জনের” উদ্যোগে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রিয়াদের আল তাবিয়া কমিউনিটি সেন্টারে এক জমকালো পিঠামেলার আয়োজন করে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে শুরু হয়ে মেলা উৎসব চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।
আমরা ক’জনের অন্যতম সদস্য মুসা বাবুর উপস্থাপনায় পিঠামেলার প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন, রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান মোহাম্মদ আইয়ুব।
মেলার স্টলগুলো সাজানো ছিল বাংলার বাহারি পিঠায় সজ্জিত। মেলার স্টলগুলোতে স্থান পায়, বাংলার ঐতিহ্যবাহী দুধ চিতই, দুধ কলি, মুক শাপলা, পাটি সাপটা, ফুল পিঠা, নকশি পিঠা, ভিজা পিঠা, মাছের পিঠা, ভাপা পিঠা, জানের পিঠাসহ প্রবাসী গৃহিনীদের তৈরি নানাধরণের পিঠা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, “পিঠা মেলায় দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বাংলাদেশিদের মিলনমেলা দেখে অনেক ভালো লাগছে”।
তিনি আরো বলেন, “আমাদের প্রবাসী সন্তানরা যখন দেশীয় ইতিহাস ঐতিহ্য ভুলতে বসেছে ঠিক সেই মুহূর্তে আমরা ক’জনের এই দেশীয় পিঠা উত্সব অবশ্যই প্রসংশনীয়”।
আমরা ক’জনের সভাপতি আজাদ কামাল তার বক্তব্যে বলেন, “আমাদের সংগঠন গত ২৫ বছর ধরে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে এবং তরুণ প্রজন্মকে দেশীয় কৃষ্টি কালচার শিক্ষাদিতে এবং তাদের অজানাকে জানানোর জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে”।
মেলা প্রাঙ্গণে দূতাবাস থেকে আগত অতিথিদের মধ্যে আরো ছিলেন, দূতাবাসের কাউন্সিলর (পাসপোর্ট) খাইরুল আলাম, কাউন্সিলর (ইকোনমিক) ডক্টর আবুল হাসান, কাউন্সিলর (পলিট্রিক্যাল) মোশাররফ হোসেন, কাউন্সিলর (শ্রম) সারওয়ার আলম, কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম, প্রথম সচিব (লোকাল) ফারজানা মান্নান।
এসময় দলমত নির্বিশেষে রিয়াদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন।
মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল বাংলাদেশের কালজয়ী কিছু গান, কবিতা এবং নৃত্য।
এছাড়াও মেলায় স্টল সাজানো ও সুন্দর পিঠা উপস্থাপনের জন্য ৩ টি করে স্টল মালিকদের পুরস্কৃত করা হয়।