জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন

Radio চট্টগ্রাম

peshajeebe88

 

 

 

 

 

প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবালকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের পেশাজীবীরা মাঠে নেমেছেন।  আজ রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রতিবাদী মানবন্ধন সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে বক্তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে ড. জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টার নেপথ্যে কোনো রাজনৈতিক কারণ আছে কী-না, তা খতিয়ে দেখা দরকার বলেও উল্লেখ করেন। বক্তারা এই ঘৃন্যতম ঘটনাটির হোতাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি প্রফেসর ডা একিউএম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. বেনু কুমার দে, নারী নেত্রী নুর জাহান খান, শিক্ষাবিদ হাসিানা জাকারিয়া বেলা, মুক্তিযোদ্ধা ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, কেন্দ্রীয় শিক্ষক নেতা প্রফেসর মুহম্মদ জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির  কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাপদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি কাজী আবুল মনসুর, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির  চট্টগ্রাম আন্চলিক সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি এজাজ ইউসুফি চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, নারীনেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, জন্মাষ্ঠমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারন সম্পাদক এ্যাড. তপন কান্তি দাশ, নারী নেত্রী রেহানা বেগম রানু, টিইউসি সভাপতি তপন দত্ত,  নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, নাজমুল হক ডিউক,  ও আবিদা আজাদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক পঞ্চানন চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ডা. সৌমিত্র বড়ুয়া  হীরক, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজীব, ছড়াকার আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, অ্যাড. জিনাত সোহানা চৌধুরী, রুমকি সেনগুপ্ত, শিক্ষক নেতা কানাই দাশ, কবি এলেক্স আলীম, ন্যাপ নেতা মিতুল দাশগুপ্ত, দেওয়ান মকসুদ আহমেদ, মানবাধিকার কমিশন উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর, সংস্কৃতি সংগঠক খোরশেদ আলম, বাংলার মুখের সাধারণ সম্পাদক নবুয়াত আরা সিদ্দিকী, ইন্দিরা চৌধুরী, যুবলীগ মহানগর যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, আবৃত্তিকার শারমিন মৃত্তিকা ও মুজাহিদুল ইসলাম, অবসর সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সনজিত আলম, ছড়াকার সাইদুল আরেফিন, কবি ও অনুবাদক কাবেরি আইচ, আবৃত্তিকার সেলিম ভুইয়া, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সুরজিত দত্ত সৈকত, যুব মহিলা লীগের সায়রা বানু রৌশনি, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান তারেক, অ্যাড. টিপু শীল জয়দেব, চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠ চক্রের সাধারন সম্পাদক আসিফ ইকবাল, যুবনেতা হাসান মুরাদ, সাকাওয়াত হোসেন সাকু, জমিস উদ্দিন মিঠুন, সাবেক ছাত্রনেতা সালাউদ্দিন সাকিব, শিবু প্রসাদ চৌধুরী, আলী রেজা পিন্টু, ছাত্রলীগ নেতা শাহেদ মিজান, সাবরিনা চৌধুরী, আরিফ মঈনুদ্দিন, ওয়াইস কাদের, ইয়াসিন আরাফত কচি, শফিউল আজম জিপু, ফয়সাল বাপ্পী, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের এম মাহমুদুল করিম, যুবনেতা বেলায়েত হোসেন রুবায়েত প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আবদুর রউফ পাটওয়ারি,চম্পক চক্রবর্তী, জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল মালেক, এস এম সাঈদ সুমন, ইকবাল হোসেন, গিরিজার রাজবর, ওয়াজেদ শাহাদাত নবী, নাজিম উদ্দিন, কানু রাম দে, আবদুল্লাহ আল মাসুদ,হুমায়ুন কবির আজাদ, হাসমত উল্লাহ বাহাদুর, জনি বড়–য়া,আবদুল হান্নান হিরা, হারুনুর রশিদ, মনজুর আলম, তৌহিদুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন বাপ্পী, শাহাদাত হোসেন, বিপ্লব রায় বিশ্বাস, আশেকুর রহমান, মোহাম্মদ সুমন, ইমরান সোহেল, তারিন, রাজগুপাল রাজু, ইসমাইল হোসেন শিমুল, মাকসুদুর রহমান, কাউসার আলম, খোরশেদ আলম বাবুল, মো. শাহ নেওয়াজ প্রমুখ।

সংহতি প্রকাশ করা সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে মানবাধিকার কমিশন, গ্রুপ থিয়েটার ফোরাম, বাংলার মুখ, আইন কলেজ ছাত্র সংসদ, রুপকল্প বাংলাদেশ,  স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠন।
সমাবেশে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি প্রফেসর ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম দেশজুড়ে সকল পেশাজীবীর নিরাপত্তা দাবি করেন। তিনি বলেন, বরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবালের নিরাপত্তাহীনতার ঝুকি সত্তেও তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে ঘটনাটি ঘটত না। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার  সাধারন সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে আরো অনাকাঙ্কিত কিছু হামলা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক যাত্রাপথ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সতর্কতা দাবি করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *