অবশেষে সম্পন্ন হলো সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের পুত্রবধূ ডা. শামারুখ মাহজাবীনের পুনঃময়নাতদন্ত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পুনরায় দাফন করা হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইয়াকুব আলী মোল্লা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নাজমুল হুদা, ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. হুসাইন সাফায়াত, ডা. জেসমিন সুমাইয়া, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী ডা. মুশফিকুর রহমান ডা. শামারুখের ময়নাতদন্ত করেন। পুনঃময়নাতদন্তের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আতিকুর রহমান খান। এসময় হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইয়াকুব আলী মোল্লা, যশোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সালামসহ স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকার ধানমন্ডি জোনের সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মুন্সী রুহুল কুদ্দুস লাশের পূর্বের সুরতহাল প্রতিবেদন যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে মর্গে ঢোকেন। ময়নাতদন্ত শেষ করেন বিকেল ৩টার দিকে। পরে লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকার ধানমন্ডি জোনের সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মুন্সী রুহুল কুদ্দুস শীর্ষ নিউজকে জানান, মামলার কাগজপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। মামলাটি তদন্তের জন্য তিনি যশোরে দুইদিন অবস্থান করবেন। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কুমার সাহা লাশ উত্তোলন করে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য আদেশ দিয়েছিলেন। মামলার বাদী ডা. শামারুখের বাবা পিডিবির সাবেক প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন বিচারক। প্রসঙ্গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির ৬ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাসা থেকে হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ডা. শামারুখের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ বাসায় মাহজাবীন তার শ্বশুর টিপু সুলতান, শাশুড়ি ডা. জেসমিন আরা ও স্বামী হুমায়ুন সুলতান সাদাব বসবাস করতেন। গত ১৪ নভেম্বর যশোরের কারবালা কবরস্থানে ডা. শামারুখের লাশ দাফন করা হয়।