এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে “সিজার ডেলিভারীকে না বলুন-নরমাল ডেলিভারীকে হাঁ বলুন” ফেব্রুয়ারীসহ ৪ মাসে ১৬৯ নরমাল ডেলিভারী করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর কবীর সম্প্রতি বীরগঞ্জে যোগদানের পর চিকিৎসকের স্বপ্লতা নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে “সিজার ডেলিভারীকে না বলুন, নরমাল ডেলিভারীকে হাঁ বলুন” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিনা খরচে নরমাল ডেলিভারীর কাজ শুরু করেন। প্রতিমাসে ২/৪টি নরমাল ডেলিভারী করার এক পর্যায় বিনা খরচে নরমাল ডেলিভারী করে মা ও শিশু সুস্থ্যতার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে “সিজার ডেলিভারীকে না বলুন, নরমাল ডেলিভারীকে হাঁ বলুন” বাস্তবায়নের জন্য দলে দলে গর্ভবতী মা হাসপাতালে ছুটতে শুরু করেন।
আবাশিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মাহামুদুল হাসান পলাশ জানান, নভেম্বর-৪৫জন, ডিসেম্বর-৪৫জন ও জানুয়ারী-৪৫জন সহ ৩ মাসে ১৩৫ জন গর্ভবতী মাকে নরমাল ডেলিভারী আওতায় এনে নরমাল ডেলিভারী করা হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী দাড়িয়াপুর গ্রামের জুয়েল ইসলামের স্ত্রী ও সাংবাদিক আব্দুল জলিল আহাম্মদের মেয়ে আফরোজা আক্তার (২০) ও শীতলাই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রূপশা খাতুন (২০)সহ ফেব্রুয়ারী মাসে ৩৪ জন গর্ভবতী মাকে নরমাল ডেলিভারী করা হয়েছে।
বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আবেদ আলীর নেতৃত্বে সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম মিলন, সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহিনুর ইসলাম, আবাশিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান পলাশ ও সিনিয়র ষ্টাফনার্স রেহেনা বেগম, সুপার ভাইজার অর্নিমা রানী দাস, মিড ওয়াইফারী রাজিয়া সুলতানা ও অন্যরা প্রসুতির হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন। গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারী করাতে ইনজেকশন, স্যালাইন, ডিটোল, সাবান ও ঔষুধপত্র সহ যাবতীয় ব্যায় সরকারী ভাবে বহন করা হয়। ডেলিভারী উত্তর বাচ্চার মুশারী, ২টি বেবী সেট ও ১০ দিনের ঔষুধপত্র সহ মুক্তি দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী বাচ্চার টিকা সহ প্রতি মাসে প্রসুতিদের বিনা খরচে চেকআপ করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর কবীর জানান, এ সংবাদ দৈনিক করতোয়ায় প্রকাশিত হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক, বিভাগিয় সহকারী পরিচালক ও সিভিল সার্জন একর পর এক অভিনন্দন পত্র পাঠিয়েছেন এবং প্রত্যেকেই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ পরিদর্শন করে ভুয়সী প্রসংশা করেন। এবং বীরগঞ্জের কর্মকান্ড মডেল করে সারা দেশে প্রত্যেকটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে “সিজার ডেলিভারীকে না বলুন, নরমাল ডেলিভারীকে হাঁ বলুন” বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।