আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে আপিল শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। আদালতের সিদ্ধান্তের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান মানবজমিনকে বলেন, ‘শর্ট সেনটেন্সে সাধারণত জামিন দেয়া হয়। এজন্য আপিল আবেদনে জামিনের প্রসঙ্গটা ছিল।
পরে বিচারককে জানানে হয় যে আলাদা জামিন আবেদনও প্রস্তুত করা আছে। পরে সেটা জমাও দেয়া হয়। কিন্তু এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে বল হয়, তারা নথিপত্র পেয়েছেন দেরিতে। তারা পর্যালোচনার জন্য যুক্তিসম্মত সময় পায় নি। এজন্য জামিনের বিষয়টি বাদ দিয়ে শুনানি করার অনুরোধ জানান তারা। এর প্রেক্ষিতে আগামী রোববার বেলা দুটায় জামিন শুনানি হবে বলে সিদ্ধান্ত দেন আদালত।’
দুদকের পক্ষে আদালতে এদিন আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ বিএনপি সমর্থিত অসংখ্য আইনজীবী।
এছাড়া, খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণযোগ্যতার শুনানিতে এজলাসে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আদালতে তিল ধারণের ঠাই ছিল না। ওদিকে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। দুদকের অপর দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজলও উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত। বেগম জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ এ মামলার অপর ৫ আসামীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করা হয়। আদালত দণ্ড দেয়ার পর থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে রাখা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।