সিলেট ও রংপুরে হচ্ছে শ্রম আদালত

Slider বাংলার আদালত রংপুর সিলেট

1416043_রংপুর ও সিলেট শ্রমঘন এলাকা, এখানে শ্রম আদালত স্থাপন করা হলে শ্রমিকরা সহজেই ন্যায়বিচার পেতে পারবে। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এ দুই অঞ্চলের জন্য শ্রম আদালত করার পরিকল্পনা রযেছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। আজ বুধবার সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ১১ সদস্য বিশিষ্ট ইইউর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জেন ল্যাম্বার্ড। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধি দল মূলত গার্মেন্টস কারাখানা পরিদর্শনের অবস্থা, শ্রম আইন সংশোধন, ইপিজেড শ্রম আইন প্রণয়ন, নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে জানতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি কারখানা পরিদর্শনের কাজ শেষ করেছি, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স কাজ শেষ করেছে। এখন আমাদের নিজস্ব সংস্কার সেল আছে, মিটিং হবে তারপর আমরা কাজ করব। তবে শ্রম আইন (সংশোধন) ও ইপিজেড শ্রম আইন সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনে পাস করা নাও হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শীতকালীন চলতি অধিবেশনে এ দুটি আইন পাস হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। আগামী গ্রীষ্মকালীন অধিবেশনে আইন দুটি সংসদে তোলা হবে।

পরে মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, শ্রমিকদের ন্যায়বিচার পাওয়ার সুবিধার্থে সিলেট ও রংপুরে আরও দুটি শ্রম আদালত করা হচ্ছে বলে আমরা ইইউ প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছি। এছাড়া ঢাকায় তিনটি শ্রম আদালতের মধ্যে একটি রেখে বাকি দুটি নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, সাভার অথবা গাজীপুরে পাঠানোর পরিকল্পনা আছে আমাদের।

বর্তমানে দেশে মোট সাতটি শ্রম আদালত রয়েছে জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, ঢাকায় তিনটি লেবার কোর্ট আছে। কোর্টগুলো একসঙ্গে আছে। কোর্টের জুরিসডিকশন (আওতা) নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ গাজীপুর- এভাবে আলাদা করতে পারি কিনা এ রকম একটি চিন্তা-ভাবনা আমাদের আছে। অর্থাৎ কোর্টটাকে শিফট করা। গাজীপুরের শ্রমিক ঢাকায় এসে বিচার পাওয়া খুব ডিফিকাল্ট জিনিস।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইইউ সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছি, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে সাত শতাধিক এবং অন্যান্য কোম্পানি মিলিয়ে মোট আট হাজার ৮৬টি ট্রেড ইউনিয়ন আছে। বাংলাদেশের এই ট্রেড ইউনিয়নের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে প্রতিনিধি দল। তিনি আরও বলেন, আমরা এর আগে আইএলওতে শ্রম আইনের খসড়া পাঠিয়েছিলাম। গত ডিসেম্বরে সংস্থাটি খসড়ার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়ে তা বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *