কে এই নাদিয়া, পেছনে ফেললেন মেগানকে

Slider সারাবিশ্ব

45888ce26c92602baaf1640a373a6bd0-5a83028aafc02বছরের নানান ঘটনার খোঁজখবর রাখতে গিয়ে অনেকেই ঢুঁ মারেন গুগলে। খোঁজেন বিষয়ভিত্তিক নানান বিষয়, তথ্য, ঘটনা। কেউ কেউ নিজ নিজ কর্মকাণ্ডের কারণে চলে আসেন গুগলের সার্চ লিস্টের শীর্ষে। কিন্তু গত বছরে এমন একজনকে খোঁজা হয়েছে, যিনি হয়তো অনেকের কাছেই কম পরিচিত। পেশায় ইতালির এই টেলিভিশন সাংবাদিক গুগল ট্রেন্ডসে পেছনে ফেলেছেন মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মেরকেল, হার্ভি ওয়াইনস্টিন, অভিনেতা কেভিন স্পেসিকে।

নিউজউইকের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে গুগলে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি খোঁজার তালিকায় নাদিয়া তোফা নামের এক নারীর নামও আছে। গুগল ট্রেন্ডসে গত বছর তাঁর অবস্থান ৩ নম্বরে। ইতালিয়ান এই অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং টিভি উপস্থাপিকার জন্ম ১৯৭৯ সালের ১০ জুন।

ইতালিয়া চ্যানেল-১-এর জনপ্রিয় অনুষ্ঠান লি ইনে উপস্থাপনা করছেন। রাজনৈতিক বিষয়াবলি ও জনগণের নানা সমস্যার প্রতিবেদন তুলে ধরা হয় তাঁর অনুষ্ঠানে। কখনো বা চলমান ইস্যুকে কিছু ব্যঙ্গ-বিদ্রূপভাবে ফুটিয়ে তোলা হয় ওই অনুষ্ঠানে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে তাঁর অনুসারীর সংখ্যাও কম নয়। তা প্রায় ১৫ লাখের বেশি।

গুগল টেন্ডসে সবচেয়ে বেশি খোঁজার (পিপল) তালিকার প্রথমে আছেন মার্কিন টেলিভিশন সাংবাদিক ম্যাথু টড লাউয়ার, এরপরেই প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে এ বছরে গাঁটছড়া বাঁধতে যাওয়া মার্কিন অভিনেত্রী মেগান, তৃতীয় উনচল্লিশ বছরের নাদিয়া তোফা, চতুর্থ হলিউড মুঘল হার্ভি ওয়াইনস্টিন, পঞ্চম স্থানে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠা অভিনেতা কেভিন স্পেসি।

এখন প্রশ্ন হলো কেন নাদিয়া তোফাকে সারা বিশ্ব থেকে বেশি খোঁজা হয়েছে। ২০১৫ সালে ‘ইচিয়া ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিজম’ (বর্ষসেরা টেলিভিশন উপস্থাপনা; এটি হলো স্পেশাল প্রাইজ) অ্যাওয়ার্ড পাওয়া নাদিয়া তোফা ২০১৭ সালে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন বিশ্বব্যাপী।

গত নভেম্বরে তাঁর অনুষ্ঠান লি ইনে তোফা বলেন, ইতালির গ্রান স্যাসো পাহাড়ে লুকিয়ে বিপজ্জনক পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। আর এর ফলে ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমায় যে দুর্ঘটনা হয়েছিল, তেমন ঘটনা এখানেও ঘটবে।

ইতালি সরকার দাবি করে বসে, এ খবরটি সঠিক ছিল না। এরপরই নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এরপরই গুগলে কে এই তোফা—খোঁজা শুরু হয়ে যায়। পরেরটি তো ইতিহাস।

গত নভেম্বরে তোফা তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘মিথ্যায় আমাদের অস্বস্তি হয়, এ জন্য আমরা বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক ভেঙে ফেলি। কারণ আমরা বুঝতে পারি না যে মিথ্যা দুর্বলতার একটি রূপ, এটি লুকানোর একটি উপায়। এর অর্থ নিজেকে প্রকাশ করতে আপনি যথেষ্ট সাহসী নন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *