এ যেন এক সিনেমার কাহিনী। নায়িকা দাঁড়িয়ে আছেন নির্মীণাধীন বহুতল ভবনের মাথার উপর। আর নীচে পুলিশ, দমকল বাহিনী ও গণমাধ্যমসহ সাধারণ জনতার শ্বাসরুদ্ধ অবস্থান। কী হয় কী হয় উত্তেজনা।
এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হলেন মুম্বাইয়ের ওয়াদালা অঞ্চলের মানুষ। জানা গেছে, শুক্রবার সেখানকার এক নির্মীণাধীন বহুতল ভবনের কার্নিশে বিপজ্জনকভাবে দাঁড়িয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা জেঠালাল মারু।
প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে তিনি উপর থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যাওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। বাড়তে থাকে ভিড়। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকল বাহিনীর কাছে।
ছয় ঘণ্টা ধরে প্রিয়াঙ্কাকে নামিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা চলে। ২৫ জন পুলিশ ও ১৫ জন দমকল কর্মী ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যান তাকে নামিয়ে আনার।
দুই ঘণ্টা ধরে ব্যর্থ চেষ্টার পরে পুলিশ খবর দেয় ইন্সপেক্টর শালিনী শর্মাকে। শালিনী অপহৃত উদ্ধার ও বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলার ব্যাপারে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, প্রিয়াঙ্কা তার কাছে কাউকেই ঘেঁষতে দিচ্ছেন না। কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেই তিনি ঝাঁপ দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
শালিনী ধীরে ধীরে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। তিনি প্রিয়ঙ্কাকে জানান, একটা আইনি কাগজে তাকে স্বাক্ষর করতে হবে। সেই অছিলায় তিনি প্রিয়াঙ্কার কাছে যান এবং তাকে জাপটে ধরে নীচে নামিয়ে নিয়ে আসেন।
পরে প্রিয়ঙ্কাকে তার বাবা-মার হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, অবিবাহিত প্রিয়াঙ্কা মানসিক চাপের কারণেই এমনটা করেছেন।