দেশে যে হারে নানা ধরনের ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে চিকিৎসকরা নিয়মিত আদা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এক গবেষণায় জানা গেছে, যে নিয়মিত অল্প করে আদা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং জিঞ্জেরল নামক দুটি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করে। আসলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে দেহের অন্দরে ক্যান্সার সে জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এছাড়াও আরও অনেক গুণ রয়েছে আদার।
শীতের সময় পিঠের ব্যথা বা যেকোনো জয়েন্ট পেইন এর সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে রোজ অল্প পরিমাণে আদা খাওয়া যেতে পারে। আদায় উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন এত মাত্রায় কমিয়ে দেয় যে কোনও ধরনের ব্যথা কমতে সময়ই লাগে না। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পেশী সুস্থ সবল রাখতে এক গ্লাস আদা জল পান করুন। আদা পেশীর কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
নিয়মিত আদার সঙ্গে অল্প করে লেবুর রস মিশিয়ে পান করার অভ্যাস করলে একদিকে যেমন কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। এই খনিজটি ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা এত মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।