সম্পাদকীয়: নির্বাচন স্থগিত: রিটকারীরা বড় দুই দলের নেতা। ত্যাগী কর্মীদের জয়!

Slider ফুলজান বিবির বাংলা সম্পাদকীয়

images

 

 

 

 

 

ডিএনসিসির নির্বাচন ডাক-ঢোল পিটিয়ে শুরু হলেও স্থগিত হয়ে গেলো। চলমান ট্রেন থেমে গেলো। নির্বাচনী আমেজে ভাটা পড়ে গেলো। যারা রিট করে নির্বাচন স্থগিত চাইলেন তারা বড় দুই দলের নেতা। তাহলে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করার কি দরকার ছিল? এতে কি দলের কোন লাভ হয়েছে?  উত্তরটা এমন যে, লাভ হয়েছে কোন না কোন ভাবে। তো কি ধরণের লাভ সেটা। তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেলো। তবে স্বাভাবিকভাবে মনে হচ্ছে, রিটের কারণে স্থগিত নির্বাচন ত্যাগী রাজনৈতিক কর্মীদের সম্মান করেছে এটা ঠিক।

জানা গেছে, বড় দুই দলের যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারা উভয়েই ব্যবসায়ী। আগাম সংকেতের কারণে ত্যাগী  তেমন কোন রাজনৈতিক নেতারা মনোনয়ন ক্রয় করেননি। দলীয় প্রধানদের বিরাগভাজন না হওয়া থেকে দূরে থেকে তারা প্রতিবাদ করেছেন অন্য ভাষায়। আর এই প্র্রতিবাদের ফল হয়, দুই দলের দুই নেতা যৌথভাবে বাদী হয়ে রিট করেছেন। আর স্থগিত হয়েছে নির্বাচন।

অনেকে বলছেন, সরকার ইচ্ছা করলে এই রিটের ক্ষেত্র নষ্ট করতে পারতেন। কারণ ডিএনসিসির বর্ধিত অংশ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়  একটি স্পষ্ট প্রাজ্ঞাপন দিলে হয়তো রিটের ক্ষেত্র তৈরী হত না।

পরিশেষে বলা যায়, ব্যবসায়ীদের মনোনয়ন দেয়ার কারণে সংক্ষুব্ধ রাজনৈতিক ত্যাগী নেতা-কর্মীরা বাদি হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। আর আদালত তাদের প্রতি সম্মান রেখে নির্বাচন স্থগিত করেছেন। আর সরকারও পরোক্ষভাবে স্থগিতের ক্ষেত্র তৈরী করে দিয়েছে। তাহলে সহজেই প্রশ্ন এসে যায়, কেন এই ভোট ভোট খেলা হল? প্রশ্নটির কোন উত্তর নেই জাতির কাছে।

 

ড, এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইনচীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *