বিমানবন্দরে অবতরণের পর ইমিগ্রেশন বিভাগ পার হতে পারলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ে যাত্রীর। কিন্তু জিম্বাবুয়ের একটি পরিবার প্রায় তিন মাস ধরে পড়ে আছে ব্যাংককের সুভারনাভূমি বিমানবন্দরে।
থাই ইমিগ্রেশন ব্যুরো জানিয়েছে, এই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ১১ বছরের নিচে চার শিশু এবং বাকী চারজন প্রাপ্ত বয়স্ক। জিম্বাবুয়েতে তারা বিচারের সম্মুখীন হতে পারেন এই ভয়ে তারা সেখানে ফিরতে চাচ্ছেন না।
ইমিগ্রেশন ব্যুরোর মুখপাত্র চার্নগ্রহন রিমফাদি জানিয়েছেন, পরিবারটি পর্যটক হিসেবে থাইল্যান্ডে এসেছিল। গত অক্টোবরে তারা ব্যাকংক থেকে ইউক্রেনের কিয়েভ হয়ে স্পেনের বার্সেলোনায় যেতে চেয়েছিল। তবে স্পেনের ভিসা না থাকায় তাদেরকে বোর্ডিং দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। কিন্তু বিমানবন্দরে প্রবেশের পর তারা থাইল্যান্ড ইমিগ্রেশেন পুনরায় পার হতে ব্যর্থ হয়। কারণ ততদিনে তাদের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত দিন অবস্থানের কারণে তাদের কাঁধে জরিমানার বোঝাও ঝুলতে শুরু করেছে। পরবর্তীতে তারা ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিয়েভ হয়ে দুবাই যাওয়ার জন্য।
তবে শেষ মুহূর্তে তারা টিকেট বাতিল করে।
ওই পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা জিম্বাবুয়েতে ফিরে যেতে রাজী না। কারণ নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট মুগাবের ক্ষমতাচ্যুতির পর তারা সেখানে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা করছে। চার্নগ্রহন রিমফাদি জানান, পরিবারটি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের কাছে আশ্রয় আবেদন করেছে। তাদের বিষয়ে সংস্থার সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত পরিবারটি বিমানবন্দরেই অবস্থান করছে এবং সেখানকার কর্মীরা তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করছে।