ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের লাদাখে উটের পিঠে চেপে টহল দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটির সেনাবাহিনী। পাইলট প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে শিগগিরই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সেনাদের এভাবে টহল দিতে দেখা যাবে।
ভারতের সিকিম, তিব্বত ও ভুটান সীমান্তের কাছে ডোকলামে গত জুন মাসেই প্রায় দেড় মাসব্যাপী মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ভারত ও চীনের সেনারা। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ভারতীয় সেনাবাহিনী উটের পিঠে চেপে টহলের পরিকল্পনা করছে। এ ক্ষেত্রে এক কুঁজ ও দুই কুঁজওয়ালা উট (ব্যাকট্রিয়ান ক্যামেল) ব্যবহার করা হতে পারে। বর্তমানে ওই এলাকায় খচ্চর আর ঘোড়ায় চেপে টহল দেয় ভারতীয় সেনারা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলে বাছাই করা উটগুলোকে টহল এবং অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য ভারী সামগ্রী বহনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ওই অঞ্চলে সমুদ্রতল থেকে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে টহল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘোড়া ও খচ্চরের চেয়ে উট বেশি কার্যকর বলে মনে করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দুই কুঁজওয়ালা একেকটি উট ১৮০ কেজি থেকে ২২০ কেজি পর্যন্ত ভার বহন করতে পারে। এই তুলনায় খচ্চর আর ঘোড়া খুব কমই, প্রায় ৪০ কেজি করে ভার বহন করতে পারে। এ ছাড়া লাদাখের মতো এলাকায় এসব প্রাণীর তুলনায় উট দ্রুত ছুটতে পারে।
ভারতে দুই কুঁজওয়ালা উটের দেখা মেলে কেবল লাদাখের নুব্রা উপত্যকায়। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) কাশ্মীরের গবেষণাকেন্দ্র ডিফেন্স ইনস্টিটিউট অব হাই অলটিচুড রিসার্চের (ডিআইএইচএআর) পরিচালক বলেছেন, নুব্রায় দুই কুঁজওয়ালা প্রায় ২০০ উট রয়েছে।
সেনাবাহিনী এরই মধ্যে রাজস্থানের বিকানেরে অবস্থিত জাতীয় উট গবেষণাকেন্দ্র থেকে চারটি এক কুঁজওয়ালা উট সংগ্রহ করেছে। সেগুলো লাদাখে পৌঁছেও গেছে। ডিআইএইচএআর এরই মধ্যে দুই কুঁজওয়ালা উটের ভার বহনের সক্ষমতা নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। এ ছাড়া লাদাখের বৈরী পরিবেশে ভার বহনের প্রশিক্ষণ দিতে কী করণীয়, তা-ও এই প্রতিষ্ঠানই নির্ধারণ করবে।
সুত্রঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া