সিলেটে চাচীর বিরুদ্ধে দেড় মাসের শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ

Slider সিলেট

IMG_20171228_175003

সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট জেলার কানাইঘাটে আপন চাচীর বিরুদ্ধে দেড় মাস বয়সী এক শিশুকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত শিশু নাদিম উপজেলার বড়চতুল গ্রামের সৌদি প্রবাসী নজরুল ইসলামের ছেলে। শিশুটিকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আপন চাচীর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাদিমের মুখে কীটনাশক ঢেলে দেয়া হয়। একপর্যায়ে মুমুর্ষ অবস্থায় তার মা সুমি বেগম ও স্বজনরা কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসকগণ শিশু নাদিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়না তদন্তের পর শিশুটির লাশ গতকাল বুধবার রাতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শিশুর মা সুমি বেগম ও তার স্বজনরা জানিয়েছেন, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শিশুটির চাচী দুই সন্তানের জননী সুমানা বেগম শিশু নাদিমকে কোলে নিয়ে মুখে কীটনাশক ঢেলে দিলে শিশু নাদিম বিষের যন্ত্রনায় ছটফট করলে সুমানা বেগম তোয়ালে দিয়ে শিশুটির মুখের বিষ মুছে দেন। তখন সুমি বেগম শিশুটির মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে চিৎকার চেচামেচি করলে আশপাশের লোকজন এসে তাৎক্ষণিক শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
সুমি বেগমের স্বজনরা জানান, আপন মামাতো ভাই প্রবাসী নজরুল ইসলামের সাথে সুমি বেগমের বিয়ে তিন বছর পূর্বে হয়। নজরুল ইসলামের বড় ভাই তাজ উদ্দিনের স্ত্রী সুমানা বেগম চেয়েছিল তার খালাতো বোনের সাথে নজরুলের বিয়ে দিবে, কিন্তু সেই বিয়েটি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় সুমানা বেগম।
এরই জের ধরে মঙ্গলবার সুমি বেগমকে মোবাইল ফোনে তার পিত্রালয় থেকে বাড়ীতে ডেকে নেয়ার পর সন্ধ্যার সময় সুমানা বেগম শিশুটি নাদিমের মুখে কীটনাশক ঢেলে দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
হত্যাকান্ডের সন্দেহে সুমানা বেগমকে তার শশুড় বাড়ীতে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। তবে সুমানা বেগম শিশু নাদিমের মুখে কীটনাশক দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দেড় মাসের শিশুকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার সংবাদ আমরা পেয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *