ধূমপান যে স্বাস্থ্যের জন্যে কতটা ক্ষতিকর তা নতুন করে বলার কিছু নেই। ধূমপান রোধে সচেতন মানুষরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা ধূমপান রোধে ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের এসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনিতেই ভ্যারেনিক্লাইন কোনো মানুষের ধূমপানে আসক্তি তিন গুন হারে কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হয়। কিন্তু যারা এই ওষুধ গ্রহণ করেন তাদের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি থাকে বলে মনে করা হয়।
কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বলতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, অ্যারিথমিয়াস, অস্থির অ্যাজিনা এবং পেরিফেরাল ভাসকুলার বোঝায়। যাদের আগে কখনও কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা ছিল না, তারাও ধূমপান ত্যাগের ওষুধ গ্রহণের পর ১২ শতাংশ বেশি ঝুঁকিতে পড়ে যান।
গবেষণা দলের প্রধান ইউনিভার্সিটি আব টরোন্টোর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর আন্দ্রিয়া এস গারশন বলেন, ভ্যারেনিক্লাইনের মতো ওষুধগুলো মানসিক সমস্যারও কারণ হতে পারে। গ্রহণকারীদের মধ্যে বিষণ্নতা দেখা দেয়। ধূমপান ত্যাগের মাধ্যমে একজন মানুষের মাঝে হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ অনেক ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে। কিন্তু এর ওষুধও কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
তবে আমাদের গবেষণা মানুষকে ভ্যারেনিক্লাইন গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে না। মনে রাখতে হবে, এ ধরনের ওষুধ স্বাস্থ্যের অন্যান্য অবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করে তবেই গ্রহণ করতে হবে।
আমেরিকান জার্নাল অব রেসপাইরেটরি অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন-এ প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র। অন্টারিওতে বাস করেন এমন ৫৬ হাজার ৮৫১ জন রোগীর মেডিক্যাল রেকর্ড বিশ্লেষণ করা হয় এই গবেষণায়। তারা সবাই ধূমপান ত্যাগে ভ্যারেনিক্লাইন বা এ ধরনের ওষুধ গ্রহণ করছিলেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস